মঙ্গলবার, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৩১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
সিজার করে শিশুর জন্ম ছয় বছরে বেড়েছে ১৯ শতাংশ

সিজার করে শিশুর জন্ম ছয় বছরে বেড়েছে ১৯ শতাংশ

dynamic-sidebar

সিজার করে শিশু জন্মের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে ১২ শতাংশ শিশুর জন্ম হতো সিজার করে সেখানে ২০১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশে। সরকারি হাসপাতালে এটি ৩৫ শতাংশ, এনজিও ক্লিনিকে ৩৯ শংতাশ এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বোচ্চ, যা ৮৩ শতাংশ।

বুধবার বাংলাদেশ ম্যাটারন্যাল মর্টালিটি এন্ড হেলথ কেয়ার সার্ভে (বিএমএমএস) প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানীতে একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ মালেক। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (নিপোর্ট)- এর মহাপরিচালক রওনক জাহান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার, ডিএফআইডি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি জেনি এডমন্ডস, ইউএসএআইডির পরিচালক কারোল ভাসকুয়েজ।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘গত ছয় বছরে বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্য সেবার ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কিন্তু মাতৃমৃত্যুর হার স্থিতাবস্থায় রয়েছে। দক্ষ সেবাদানকারীর সহায়তায় প্রসবের হার বাড়লেও সিজারের হারও অনেক বেড়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের মাধ্যমে আমাদের দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত হয়েছে। এখন এসব দূর্বলতা দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে মাতৃমৃত্যুর হার শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়।

তিনি বলেন, ‘মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের আরও উন্নতির জন্য ঢাকায় এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার।’

রিপোর্টে বলা হয়, দেশের অধিকাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র মানসম্মত মাতৃস্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। দেখা গেছে, মাত্র ৩৯ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদানের বা অন কলে সেবাদানের ব্যবস্থা রয়েছে। মাত্র ৩ শতাংশ সেবা কেন্দ্র মানসম্মত প্রসব সেবা প্রদানে প্রস্তুত। উপজেলা এবং উচ্চতর পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মাত্র ৪৬ ভাগ এবং বেসরকারি পর্যায়ে মাত্র ২০ ভাগ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কমপক্ষে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারী রয়েছেন। মাত্র ১০ ভাগ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে কম্প্রিহেনসিভ জরুরী প্রসুতি সেবা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ৯৬ ভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সিজার করে সন্তান জন্ম হলেও মাত্র ১৬ ভাগ ক্ষেত্রে কম্প্রিহেন্সিভ জরুরী প্রসুতি সেবা প্রদানের ব্যবস্থা আছে। তবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের তুলনায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রসব সেবার প্রস্তুতি অনেকটা দুর্বল।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net